অরিন্দম দেব
হিমসাগর নামেই আছে আম
বীরসিংহ সে বটে এক গ্রাম
অপরাজিতা শিবের প্রিয় ফুল
পার্বতীরই কর্ণমুলে ঝুমকো কানের দুল
বউকথাকও ডাকেই যখন পাখি
দেশভাগটি মনে যে হয়, রাজনৈতিক ফাঁকি!
চিত্রকূট সে ভাজা রসের মিষ্টি
ইলশাগুঁড়ি বটেই গুঁড়ি গুঁড়ি টানা বৃষ্টি
রূপচাঁদা সে মাতলা নদীর মাছ
শিশু মায়ের কোলে, তথা এক গাছ
রূপসী বাংলা -জীবনানন্দ কবি
সাড়েচুয়াত্তরে অতি উত্তম ছবি
নজরুল, তিনি বিদ্রোহী কবি কাজী
চিনিয়ে গেলেন, অনেক পাঝাড়া পাজি
হেমন্ত বটে বছর শেষের ঋতু
বিবাহোত্তরে জীবন সে বটে থিতু
দুর্বাদল সে সৃষ্টে সবুজ ঘাস
শ্রাবণে প্লাবন বরষণেরই মাস
মাঝি যে গায় ভাটিয়ালি সুরে গান
খই সে ফোটায় বিন্নি নামক ধান
গোল্লাছুট সে শৈশবেরই বন্ধুদেরই খেলা
দেরী হলেই পীড় বাবাজির মাঝার ভয়ের ঠেলা
কালীর নামেই গুনগুনাই গো, রামপ্রসাদী সুর
মিষ্টিতে যে শৈত্যকালীন গন্ধ, নলেন গুড়!
কাঞ্চন সে কন্যা যে নেয় হিমালয়ের রেল
আর মা ঠাকুমার কেশসাজে জবাকুসুম তেল
প্রিয় মোদের অতি প্রিয় হলেন ফেলুদাদা
শুভঙ্করী আঁক কষতে, নতুন কত ধাঁধাঁ
শিশুকন্যা বাংলার মেয়ে,খিলখিলিয়ে হাসি
বাবা তারই বাজান যখন সুরে মোহন বাঁশি
ভালোবাসায় বাঁধা এমন অনেক আছে ঘর
ভাঙে যে হায় ভয়ঙ্কর কালবোশেখীর ঝড়
বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ আনে মুক্তি
আর সাগরমাঝেই মুক্তা বুকে আছে সে তো শুক্তি
কীর্তনখোলা বটেই নাম এক নদী
দিবাস্বপ্ন জড়ায় বটে, সাথেই জোড়ো ” যদি”
মণিকাঞ্চন লাভে যোগ, মৃত্যুতে ওই সন্ন্যাস রোগ
অখিল বটে স্বপনবুড়ো গল্প জোড়েন তারিণীখুড়ো –
শঙ্খচূড় সাপেরই নাম, কামড়ে বাঁচলে বাপের নাম
এমন বটে ভাষা মোদের বাংলা, আমি বাঙালি
আমি তোমায় করতে আপন হই যে চির কাঙাল ই
Leave a Reply